বয়স যা-ই হোক না কেন, আইসক্রিমের লোভ সামলানো কঠিন। কিন্তু মন ভরে যে একটা আইসক্রিম খাবেন, সে জো নেই। রক্তে শর্করা ঊর্ধ্বমুখী। ডায়াবিটিস এক বার ধরা পড়লে জীবন থেকে বাদ পড়ে যায় অনেক কিছুই। মিষ্টি থেকে লোভনীয় খাবার চলে যায় বাতিলের খাতায়। সেই তালিকায় থাকে আইসক্রিমও।
ডায়াবিটিস ধরা পড়লে কি তবে মিষ্টি-আইসক্রিমে ইতি টানতে হবে? ডায়াবিটিসের চিকিৎসক অভিজ্ঞান মাঝি অতীতে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, মিষ্টি একেবারেই খাওয়া যাবে না বলা ভুল। তবে ক্যালোরির হিসেব-নিকেশ অতি অবশ্যই করতে হবে। খেলেও তা খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে।
কিন্তু আইসক্রিম? এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, শর্করা। যারর কোনওটিই স্বাস্থ্যের পক্ষে উপযুক্ত নয়। শরীরে থাকা ইনসুলিন নামক হরমোন খাবারের গ্লুকোজকে শক্তিতে পরিণত করে। কিন্তু ডায়াবিটিস হল এমন এক অসুখ, যেখানে এই কাজটি করতে পারে না শরীর। ইনসুলিন হরমোনটিকে শরীর ঠিক ভাবে কাজে লাগাতে না পারলে সমস্যা হয়। একে বলা হয় টাইপ ২ ডায়াবিটিস। ফলে আইসক্রিম যদি কেউ নিয়মিত বা দু’দিন অন্তরও খান, ওজন বৃদ্ধির ভয় থাকবে, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সেও সমস্যা হতে পারে।
যদিও এই ব্যাপারে আশার আলো দেখাচ্ছে, ‘জার্নাল অফ ডেয়ারি সায়েন্স’-এ প্রকাশিত ২০১৯ সালের একটি গবেষণাপত্র। বিভিন্ন রকম দুগ্ধজাত পণ্য টাইপ ২ ডায়াবেটিকদের উপর কতটা প্রভাব ফেলে, তা নিয়েই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় ও কর্মশালা আয়োজিত হয়। তাতেই দেখা গিয়েছে, ক্রিম ডায়াবেটিকদের জন্য যতটা ক্ষতিকর, আইসক্রিম নয়। বরং আইসক্রিম টাইপ-২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে বলেই প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ।
তবে এখান থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা অনুচিত মনে করেন চিকিৎসকেরা। বরং পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসকদের মত, ইচ্ছা হলে কোনও কিছু খাওয়া গেলেও পরিমিতিবোধ জরুরি। আইসক্রিম কোন উপাদানে তৈরি, তাতে কতটা চিনি যোগ হচ্ছে, ফ্যাট কতটা—এমন অনেক শর্তের উপর নির্ভর করবে সেটি ক্ষতিকর, না কি স্বাস্থ্যকর হতে পারে।
নিয়মিত নয়, অল্প পরিমাণে আইসক্রিম খাওয়া যেতে পারে।
আইসক্রিম খেলে সেই দিন বাকি খাবারগুলি কম ক্যালোরির হওয়া দরকার।
আইসক্রিম খাওয়ার আগে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। প্রোটিনযুক্ত খাবারও যোগ করা যায়। ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পেতে বাধা দেয়। সেই কারণে, ডায়াবেটিকদের সব সময় খাবারে ফাইবার যুক্ত করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
আইসক্রিমও এখন কম ক্যালোরির, কম চিনির পাওয়া যায়। এমন কোনও জিনিস বেছে নিতে পারেন।
তবে একই খাবার ব্যক্তিবিশেষের শরীরে এক এক রকম ভাবে প্রভাব ফেলে। খাওয়ার পরে গ্লুকোজ মনিটরে দেখে নিতে পারেন, শর্করা কতটা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ডায়াবিটিস ধরা পড়লে কি তবে মিষ্টি-আইসক্রিমে ইতি টানতে হবে? ডায়াবিটিসের চিকিৎসক অভিজ্ঞান মাঝি অতীতে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, মিষ্টি একেবারেই খাওয়া যাবে না বলা ভুল। তবে ক্যালোরির হিসেব-নিকেশ অতি অবশ্যই করতে হবে। খেলেও তা খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে।
কিন্তু আইসক্রিম? এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, শর্করা। যারর কোনওটিই স্বাস্থ্যের পক্ষে উপযুক্ত নয়। শরীরে থাকা ইনসুলিন নামক হরমোন খাবারের গ্লুকোজকে শক্তিতে পরিণত করে। কিন্তু ডায়াবিটিস হল এমন এক অসুখ, যেখানে এই কাজটি করতে পারে না শরীর। ইনসুলিন হরমোনটিকে শরীর ঠিক ভাবে কাজে লাগাতে না পারলে সমস্যা হয়। একে বলা হয় টাইপ ২ ডায়াবিটিস। ফলে আইসক্রিম যদি কেউ নিয়মিত বা দু’দিন অন্তরও খান, ওজন বৃদ্ধির ভয় থাকবে, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সেও সমস্যা হতে পারে।
যদিও এই ব্যাপারে আশার আলো দেখাচ্ছে, ‘জার্নাল অফ ডেয়ারি সায়েন্স’-এ প্রকাশিত ২০১৯ সালের একটি গবেষণাপত্র। বিভিন্ন রকম দুগ্ধজাত পণ্য টাইপ ২ ডায়াবেটিকদের উপর কতটা প্রভাব ফেলে, তা নিয়েই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় ও কর্মশালা আয়োজিত হয়। তাতেই দেখা গিয়েছে, ক্রিম ডায়াবেটিকদের জন্য যতটা ক্ষতিকর, আইসক্রিম নয়। বরং আইসক্রিম টাইপ-২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে বলেই প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ।
তবে এখান থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা অনুচিত মনে করেন চিকিৎসকেরা। বরং পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসকদের মত, ইচ্ছা হলে কোনও কিছু খাওয়া গেলেও পরিমিতিবোধ জরুরি। আইসক্রিম কোন উপাদানে তৈরি, তাতে কতটা চিনি যোগ হচ্ছে, ফ্যাট কতটা—এমন অনেক শর্তের উপর নির্ভর করবে সেটি ক্ষতিকর, না কি স্বাস্থ্যকর হতে পারে।
নিয়মিত নয়, অল্প পরিমাণে আইসক্রিম খাওয়া যেতে পারে।
আইসক্রিম খেলে সেই দিন বাকি খাবারগুলি কম ক্যালোরির হওয়া দরকার।
আইসক্রিম খাওয়ার আগে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। প্রোটিনযুক্ত খাবারও যোগ করা যায়। ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পেতে বাধা দেয়। সেই কারণে, ডায়াবেটিকদের সব সময় খাবারে ফাইবার যুক্ত করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
আইসক্রিমও এখন কম ক্যালোরির, কম চিনির পাওয়া যায়। এমন কোনও জিনিস বেছে নিতে পারেন।
তবে একই খাবার ব্যক্তিবিশেষের শরীরে এক এক রকম ভাবে প্রভাব ফেলে। খাওয়ার পরে গ্লুকোজ মনিটরে দেখে নিতে পারেন, শর্করা কতটা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্বাস্থ্য ডেস্ক: